App Framework

Starting app

স্বাগতম

app

কথায় বলে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাই আমাদের জানা উচিত কীভাবে নিজেকে সুন্দর রাখা যায়। মানুষ সুন্দর হয়ে জন্মালেও যত্নবান না হলে সৌন্দর্য বেশি দিন টেকে না। আমরা অনেকেই মনে করি গায়ের রং ফর্সা হলেই বুঝি সে সুন্দর। আসলে তা নয়। রং আপনার যা-ই হোক না কেন, যদি তাতে গ্ল্যামার বা লাবণ্য থাকে তাকেই আজকাল সুন্দর বলে। ঘোলাটে, নির্জীব, দাগযুক্ত ত্বক যেমন নিজের কাছে খারাপ লাগবে তেমনি অন্যের কাছেও খারাপ লাগবে। আল্লাহ আপনাকে যেমনই বানান না কেন, একটু চেষ্টা করলেই আপনি অনেকখানি আকর্ষণীয় হতে পারেন সবার কাছে। তার জন্যে শুধু দরকার ধৈর্য ও নিয়ম মাফিক পরিচর্যা।

Title

ব্রণ এবং ব্রণের দাগ কিভাবে দূর করা যায়



জায়ফলের মধ্যে “মেইস” নামক একটি উপাদান আছে, যা ফাংগাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। ব্রণের মূল কারণ হলো মুখের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের আক্রমণ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন জায়ফল কিভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে।

প্রথমে একটি বাটিতে জায়ফল গুড়া, মধু এবং একটু দুধ নিন।এবার ভালোকরে এগুলো এমনভাবে মেশান যেন তা পেস্টের মতো হয়।এইরকম পেস্ট বানিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে ভালভাবে লাগান।পরদিন সকালে হালকা ভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনি নিজেই ফলাফল টের পাবেন। এই পেস্টটিকে আপনি স্পট ক্রিম হিসাবে মুখের দাগ দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন

প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি খাবেন।

ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূর্বেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

এছাড়া রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন।এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনি এটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন।

কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

আপেল এবং মধু এর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে এরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং কমপ্লেকশন হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।

Title

গরমে সতেজতা ও রূপচর্চা

রোদে পোড়া ত্বক গ্রীষ্মে সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করে। সানবার্নে মুখসহ শরীরের অনাবৃত অংশের ত্বক সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। হয়তো ছাতা, সানস্ক্রিন, সানগ্লাস কোনো কিছুই এই পোড়া ত্বকের কবল থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারছে না। সবার পক্ষে সব সময় পার্লারে যাওয়া সম্ভব হয় না।

তাই ঘরোয়া উপায়েই করে নিতে পারেন আপনার ত্বকের যত্ন। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হলো সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। এর পাতার ভেতরের থকথকে আঠালো অংশটুকু সরাসরি ত্বকে লাগাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করবেন, ত্বকের জ্বালাভাব কমে যাচ্ছে এবং নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বক ফিরে পাবেন। এটি যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবণতা যাদের বেশি তারা এর থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন। রেফ্রিজারেটরেও এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব।
গ্রিন টিও প্রকৃতি প্রদত্ত আরেকটি উপকারী উপাদান। চায়ের লিকার বানিয়ে তা ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হলে প্রয়োজনীয় অংশে প্রয়োগ করুন। দেখবেন ত্বকের লালচে গাঢ় রং স্বাভাবিক হয়ে আসছে। টক দই, চালের গুঁড়া, মধু ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। প্যাক হালকা শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভিজিয়ে সামান্য ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। কাঙ্ক্ষিত ‘স্কিনটোন’ ফিরে পাবেন নিমিষেই।
খাবার সোডাও ব্যবহার করতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ খাবার সোডা মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে লাগান। ১০-১২ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের পোড়া ভাব দূর করার সঙ্গে সঙ্গে এটি আপনার ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতেও সাহায্য করবে। শুষ্ক ত্বকে পাকা কলা, লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, উপকার পাবেন। চন্দন বাটা, নিমপাতা বাটা, কাঁচা হলুদ বাটা পেস্ট তৈরি করে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতেও বেশ উপকার পাবেন। আলুর রসে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
তৈলাক্ত ত্বকে ডাবের পানি, তরমুজের রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মাখলে প্রচণ্ড তাপেও ত্বকে বার্ন হওয়া থেকে উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা দুধ, লেবুর রস ও চন্দন পেস্ট তৈরি করে ত্বকে কিছুক্ষণ মাসাজ করে ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। প্যাক শুকিয়ে এলে দুধ দিয়ে প্যাকটি ভিজিয়ে নরম করে নিন। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দু’তিনবার ব্যবহারেই আপনার ত্বক থেকে সানবার্ন মুক্ত হতে অনেকটাই বাধ্য। মনে রাখা প্রয়োজন, রোদে পোড়া ত্বক কখনোই ঘষামাজা বা চুলকানো ঠিক নয়। এতে ত্বকের অভ্যন্তরীণ স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে পরবর্তীতে ওই জায়গায় ছোট ছোট দানার মতো হতে পারে। অনেক সময় চামড়া উঠে যেতে পারে। যা কোনো স্থায়ী ক্ষতির পূর্বাভাস মাত্র। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে সিনথেটিক পোশাক না পরে হালকা রংয়ের সুতির নরম পোশাক পরাই ভালো। খুব টাইট, পা ঢাকা জুতা পরার চেয়ে খোলা স্যান্ডেল পরাই ভালো।
বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা, সানগ্লাস এবং পানির বোতল নিতে ভুলবেন না। এই গরমে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন, প্রচুর পানি খান, বার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন এবং সবার ওপরে নিজের ত্বককে ভালোবাসুন। এই সহজ টিপসগুলো ব্যবহার করে গ্রীষ্মের পিচগলা রোদ্দুরেও আপনি থাকুন উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের অধিকারী।

Title

ভেষজ গুণে ত্বক অপরূপ



ভেষজ উপাদান দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা, বিশেষ করে ত্বকের যত্ন নিতে হয়, এটা জানা নেই অনেকেরই। বিশ্বের নামকরা হার্বাল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে তেমনি কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি পেতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মুক্তি পেতে পারেন রাসায়নিকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে।



টোনার


অনেকের ত্বকই অতি মাত্রায় তৈলাক্ত। ত্বকের এই তৈলাক্তভাব দূর করতে হলে, যে পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা জরুরি, সেটি হলো টোনার। টোনার ত্বকের তৈলাক্তভাব ততটা কমিয়ে আনতে সহায়তা করে, যতটা ত্বকের জন্যে দরকারি। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে তেঁতুলের জুস, মধু ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কমলার রস এবং দুধ মেশালেও ভালো টোনারের কাজ করে। আর এটি শুধু তৈলাক্ত ত্বকের জন্যেই না, মিশ্র-ত্বকের জন্যেও কাজ করে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সতর্কতা_ সেটি হলো, টোনার বেশি সময় ধরে ত্বকে রাখা যাবে না। তাহলে ত্বকের ক্ষতি হবে। এমনও হতে পারে, ত্বক অতি মাত্রায় রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।।



ক্লিনজিং


শুধু তৈলাক্ত ত্বক কিংবা রুক্ষ ত্বকই নয়, সব ধরনের ত্বকের জন্যেই ক্লিনজিং মানানসই এবং উপকারী। ক্লিনজিং পদ্ধতিতে আপনি নানা natural-skin-careউপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। যেমন ছোলার ডালের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের ত্বকই এমন হয়ে যায় যে, মনে হয় রোদে পুড়ে গেছে। রোদেপোড়াভাব দূর করতে হলে ব্যবহার করতে পারেন টকদই এবং গোলাপজল। গোলাপজলে টকদই ছেঁকে মিশিয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। আমলকির পেস্টও সব ধরনের ত্বকের জন্যে ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। মুলতানি মাটির গুঁড়া এবং গোলাপজল একসঙ্গে ডিপ-ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। এটা শুকানো পর্যন্ত রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। শুকানো পর্যনত রাখতে হবে এই জন্যে, যেহেতু শুকানোর আগে ধুয়ে ফেললে ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার হয় না। তৈলাক্ত ত্বকে শসার রসও মেশানো যেতে পারে। এতে ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক হবে আরো কোমল এবং সুন্দর।।



স্ক্রাব


স্ক্রাব সবচেয়ে, যে প্রয়োজনীয় কাজটি করে থাকে তা হলো, এটি ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর করে। স্ক্রাব কিভাবে তৈরি করবেন? ঠিক আছে, জানিয়ে দিচ্ছি। চালের গুঁড়া, শসা অথবা গাজরের রস ও টকদই তৈলাক্ত এবং মিশ্র ত্বকের জন্যে স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে, টকদইয়ের ক্ষেত্রে দুধ ব্যবহার করবেন। এছাড়া মুলতানি মাটি ও শসা বা গাজরের রসের মিশ্রণও ভালো স্ক্রাবের কাজ করে। স্ক্রাব করতে হবে সাত থেকে দশ দিন পর পর।।



ময়েশ্চারাইজার


উপরোক্ত শব্দগুলো সবার কাছে পরিচিত না হলেও ময়েশ্চারাইজার শব্দটি সবার কাছেই পরিচিত। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বকে মসৃণভাব আনতে ময়েশ্চারাইজারের কোনো বিকল্প নেই। গিস্নসারিন, জনসন ওয়েল বা নারকেল তেল অথবা অলিভ ওয়েলের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তৈলাক্ত ত্বকে আর তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। তেলের পরিবর্তে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

Title

কিছু প্রয়োজনীয় ভেষজ উপাদান

কিছু ভেষজ উপাদান সব সময়ের জন্যেই প্রয়োজনীয়। যেমন:


হলুদ :


হলুদ ত্বকের জীবানু নাশ করতে সহায়তা করে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে।


মধু :


মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের জন্যেই মধু দরকারি। তবে ত্বকের জন্যে এর প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। মধু ত্বককে সতেজ এবং পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি রাখে জীবানুমুক্ত।


লবণ :


লবণ এমনিতে কিছুরোগীর জন্যে ক্ষতিকর হলেও যাদের ত্বকে সমস্যা আছে, তাদের জন্যে বেশ উপকারি। কারণ লবণ ত্বকের মৃতকোষ বের করে আনতে সহায়তা করে।


লেবু :


ত্বকে এসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে লেবু কাজ করে থাকে।


জায়ফল :


মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে জায়ফলের কোনো জুড়ি নেই।


কিছু টিপস


শুষ্ক ত্বকে মাস্ক হিসেবে সপ্তাহে একদিন তিল ও সাদা সরষে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ করে পানিতে গুলিয়ে ত্বকে ১৫ থেকে ২০মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে প্রতিদিন ময়দা, মধু ও দুধ মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে চাইলে সপ্তাহে একদিন আলুসেদ্ধ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ, টকদই এবং লেবুর রসের মিশ্রণ প্রতিদিন একবার করে ত্বকে লাগাতে পারেন। অনেকের ত্বকেই এলার্জি থাকে। যাদের ত্বকে এলার্জি আছে তারা এসব উপাদান ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। নইলে সমস্যা হতে পারে।

Title

ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে

ত্বক নিয়ে বেশী সমস্যায় পড়েন তারা, যাদের ত্বক তৈলাক্ত। তেল চিটচিটে ভাবের জন্য মুখে কোনো কিছুই মানায় না। আবার ত্বকের তৈলাক্ততার জন্য উপরিভাগে জমে ময়লা। সব মিলিয়ে তৈলাক্ত ত্বক খুব সহজেই ব্রণের আক্রমণের শিকার হয়। ভালো ফেসওয়াশ, দামী ফেসিয়াল ইত্যাদি যত যাই করুন না কেন, তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি মেলে না। কিছুক্ষণ পরই ফিরে আসে তেল চিটচিটে ত্বক আর আপনার মলিন হওয়া চেহারা। আজ রইলো এমন ৪টি উপায় যা এই যন্ত্রণা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে চিরতরে!



লবণের স্প্রে:


লবণের রয়েছে ভেতর থেকে ত্বকের তেল-ময়লা দূর করার ক্ষমতা। তাই এটা খুব কার্যকরী ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে। একটি স্প্রে বোতলে ১ কাপ পানি নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লবণ গুলে নিন। এরপর এই লবণ পানি স্প্রে করুন মুখে। বিশেষ করে যে স্থানটি বেশী তৈলাক্ত। খানিকক্ষণ রেখে দিন। এরপর টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে করলে অনেকাংশে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে আসবে। শসা ও লেবুর রসের ব্যবহার ত্বকের তৈলাক্ততা তুড়ি বাজিয়ে দূর করতে চাইলে ব্যবহার করুন শসা ও লেবুর রস। শসা কেটে চিপে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ শসার রস নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি একটি তুলোর বলের সাহায্যে পুরো ত্বকে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শসার রস ত্বকের নিচের তেল গ্রন্থি থেকে তেল বের করে তৈলাক্ততা দূর করে। এবং লেবুর রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ব্রণ হবার সম্ভাবনা কমায়। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।



মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের মাস্ক:


এই মাস্কটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার জন্য অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এটা খুবই সহজ একটি মাস্ক কিন্তু অনেক বেশী কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে এতে মসৃণ পেস্ট তৈরি হয় এমন পরিমাণে গোলাপজল দিন। গোলাপজল অল্প করে দেবেন। যাতে বেশী পাতলা না হয়ে যায় পেস্টটি সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এরপর এই পেস্টটি একটি ব্রাশের সাহায্যে ভালো করে মুখে লাগান। চাইলে হাত দিয়েও লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।



টমেটো পিউরি:


তৈলাক্ত ত্বক থকে রেহাই পাবার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে টমেটো পিউরির ব্যবহার। টমেটো ত্বকের তৈল গ্রন্থি শুকোতে সাহায্য করে। ফলে স্থায়ীভাবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাসায় টমেটো সেদ্ধ করে ব্লেড করে নিয়ে টমেটো পিউরি বানিয়ে নিন। এরপর এই পিউরি মুখে লাগিয়ে রাখুন ৫-৭ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে সহজেই।

Title

ঋতু পরিবর্তনে ত্বকের পরিচর্যা



কখনও ভ্যাপসা গরম, কখনও টিপ টিপ বৃষ্টি আবার কখনও বা কনকনে শীত, ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে আবহাওয়ারই যখন ঠিক নেই তখন ত্বক কিভাবে ঠিক থাকবে বলুন। আবহাওয়ার বাহারী মেজাজের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে এ সময় ব্ল্যাক হেডস্, চোখের নিচে কালি, ত্বকে ভাঁজ পড়া, ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে ওঠা, মেছতা, ব্রণ, হোয়াইট হেডসসহ নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।



অতিরিক্ত তৈলাক্ততা :


এ ভ্যাপসা গরমে ত্বকে তেলের পরিমাণটা একটু বেশিই থাকে। ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করতে সিদ্ধ ওটস্, ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস এবং থেঁতো করা আপেল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।



রোদে পোড়া ত্বক :


রোদের তাপে মুখে কালো ছোপ পড়ে এ সময়। কালো ছোপ থেকে ত্বককে মুক্ত করতে আলু বা শশার রস মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।



ত্বকে ভাঁজ পড়া :


রোদে বের হবার অন্তত মিনিট পনের আগে সানব্লক ক্রিম বা লোশন মুখ, গলা এবং হাতে লাগান। দিনে অন্তত দু’বার ঠান্ডা শশার রস সারা মুখে লাগান; রোদে বের হবার আগে সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না যেন। সানগ্লাস আপনার চোখকে রোদ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি আপনার মধ্যে একটা স্মার্ট লুক নিয়ে আসবে।



ব্ল্যাক হেডস্ :


সাধারনত ব্ল্যাক হেডসের প্রকোপ দেখা যায় নাকের চারপাশে। ধনেপাতার রস ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে লাগান। সকালে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। এতে করে এক সপ্তাহেই ব্ল্যাক হেডস্ অনেকটা কমে যাবে।



মেছতা :


মেছতার প্রধান ঔষধ হচ্ছে চুলার পাশে না যাওয়া। ঘরে চালের গুঁড়ো ও ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সারা মুখে লাগাতে পারেন। এছাড়া পাতি লেবুর রস নিয়মিত লাগাতে পারেন। টক দইয়ের মাস্ক মুখে লাগালেও উপকার পাবেন। দইয়ের মাস্ক তোলার সময় টিস্যু দিয়ে তুলে, ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।

Title

মুখের কালো দাগের চিকিৎসা

অনেক কারণেই মুখে কালো দাগ বা ছোপ পড়ে থাকে৷ সূর্যের আলোতে বেশি বেরোলে মুখে কালো ছোপ পড়ে৷ গর্ভাবস্থায়, সন্তান প্রসবের পর বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে মুখের দুই পাশে মেছতার দাগ পড়ে৷ আবার এমনিতেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কারও মুখে দাগ পড়তে পারে৷ এসব দাগ দূর করার আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি আছে৷ এ ছাড়া দরকার বাড়তি কিছু যত্ন৷

প্রচুর ভিটামিন সি চাই সাইট্রাস ফল বা টক ফলে আছে প্রচুর ভিটামিন সি৷ আর ভিটামিন সি বহিঃ ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে৷ ফলে নতুন করে ত্বক সজীব ও উজ্জ্বল দেখায়৷
টমেটো, লেবু, মালটা, পেঁপে ইত্যাদিতে রয়েছে ভিটামিন সি৷ নিয়মিত প্রতিদিন তাই পাতে কিছু ফলমূল রাখুন৷ এসব ফলের রস সরাসরি ত্বকেও লাগাতে পারেন৷ যেমন: একটি বাটিতে লেবুর রস বা ফলের (কমলা, আঙুর) রস নিয়ে তুলা ভিজিয়ে মুখে লাগানো যায়৷ তারপর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ত্বকের মরা কোষ দ্রুত পরিষ্কার হবে৷

প্রকৃতির সান্নিধ্য
পেঁপেতে আছে পেপটিন এনজাইম, যা ত্বকের জন্য উপকারী৷ এই পেপটিন মৃত কোষ সরাতে ও নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে৷ আবার ঘৃতকুমারীর রসেও আছে প্রচুর প্রোটিন ও এমন উপাদান, যা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে, রোদে পোড়া দাগ দূর করে৷ এই প্রাকৃতিক উপাদান বাজারের প্রচলিত অনেক দামি ফেসওয়াশের চেয়ে ভালো কাজ দিতে পারে৷

ভিটামিন ই
ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট৷ এটিÿক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারিয়ে তোলে ও সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না৷ বাদাম, সূর্যমুখী তেল, ডিম, কলিজা ইত্যাদিতে ভিটামিন ই আছে৷ প্রচুর ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার৷

চিকিৎসা
ত্বক বিশেষজ্ঞরা দাগ ওঠাতে নানা পদ্ধতির পিলিং (ত্বককে মসৃণ) করে থাকেন৷ পিলিং করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়৷ এটি বেশ দ্রুত ও ভালো কাজ করে৷ তবে এ জন্য চিকিৎসকের সাহায্য ও পরামর্শ প্রয়োজন৷

কিছু কথা মনে রাখুন
দাগ নিয়ে হতাশ হবেন না, ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করুন৷ আজেবাজে টোটকা পদ্ধতি না বুঝে ব্যবহার করবেন না৷ কসমেটিক ব্যবহারে সব সময় ভালো ব্র্যান্ড বেছে নিন৷ প্রচুর পানি পান করুন৷ নিয়মিত সানব্লক ব্যবহার করুন৷ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হাইড্রোকুইনোন-জাতীয় ওষুধ খাবেন না৷

Title

ত্বকের যত্নে ভেষজ

ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ভেষজ উপাদান। আমলকী, হরীতকী, জটামানসী, মেথি, বহেড়া দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করবেন জানাচ্ছেন হারমনি স্পার রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা



আমলকী


ত্বক :
আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় অকালবার্ধক্য রোধ হয়। আমলকী বেটে গোসলের আগে গায়ে মাখলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
চুল :
আমলকীর রস চুলের খুশকি দূর করে। চুল পাকা এবং ঝরে পড়া রোধ করে। ব্যবহারে চুল ঝরঝরে ও মসৃণ হয়।



হরীতকী


ত্বক :
হরীতকীর ক্বাথ ক্ষতস্থানের নিরাময় করে। ত্বক পরিষ্কার করে এবং পুষ্টি জোগায়। শরীরে কোনো অংশ পুড়ে গেলে বা ফোসকা পড়লে তিল তেলের সঙ্গে হরীতকীর মিশ্রণ ক্ষতস্থানের জ্বালা কমায়, কুষ্ঠ ও নানা প্রকার চর্মরোগ দূর করে।
চুল :
হরীতকীর ক্বাথ চুলে ব্যবহার করলে চুল পাকা রোধ করে। চুল মসৃণ ও ঝরঝরে হয়।



জটামানসী


ত্বক :
জটামানসীর প্রলেপ ব্রণের জন্য উপকারী। অতিরিক্ত ঘাম ঝরা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর শিকড়ের ক্বাথ ব্রণের দাগ ও রোদে পোড়া দাগ দূর করে।
চুল :
তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুূল ভালো থাকে এবং চুল গজাতে সাহায্য করে।



নিম


ত্বক :
নিমপাতা বাটা ত্বকের ক্ষত দূর করে। এ ছাড়া বলিরেখা দূর করতে নিমবীজ তেল সাহায্য করে।
চুল :
খুশকি দূর করে এবং মাথার স্কাল্পের ক্ষত দূর করে।



হলুদ


ত্বক :
হলুদের সঙ্গে দুধের মিশ্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। হলুদের গুঁড়া ব্রণ প্রতিরোধ করে। হলুদ বাটা ক্ষতস্থানের ব্যথা দ্রুত কমায় এবং ঘা প্রতিরোধ করে।
চুল :
হলুদ ও মাখনের মিশ্রণ চুলে লাগালে উকুন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।



বহেড়া


ত্বক :
বিভিন্ন চর্মরোগ দূর করতে বহেড়া কার্যকর। বহেড়ার ক্বাথ ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
চুল :
চুল মসৃণ ও কালো করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুলের অকালপক্বতা দূর করে।



মেথি


ত্বক :
মেথি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ব্রণ, কালো আঁচিল ও বলিরেখা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ত্বক মসৃণ হয়।
চুল :
সারা রাত মেথি ভিজিয়ে পরদিন সকালে চুলে লাগিয়ে ধোয়ার পর চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। খুশকি দূর করে।



ভৃঙ্গরাজ


ত্বক :
ভৃঙ্গরাজের পাতা ত্বকের ক্ষতস্থানের জ্বালাপোড়া কমায়। ত্বক কালো হলে ভৃঙ্গরাজের রস ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়। ওবেসিটির কারণে শরীর মোটা হয়ে গেলে এর রস দিয়ে নিয়মিত শরীর ম্যাসাজ করলে মোটা কমে যায়।
চুল :
ভৃঙ্গরাজের পাতার রস চুল কালো করে। খুব ভালো প্রাকৃতিক হেয়ার ডাই এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।



তিল


ত্বক :
তিলের তেল ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে, ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ব্রণ কমায়। ত্বকের দাগও দূর করে।
চুল :
চুল বৃদ্ধির জন্য তিলের পাতা ও শিকড়ের ক্বাথ ব্যবহার করা হয়। এই তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল কালো ও সিল্কি হয়, চুল পড়া কমে এবং খুশকি দূর হয়।



যষ্টিমধু


ত্বক :
ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। ত্বকের বলিরেখা, ব্রণ ও দাগ দূর করে। যষ্টিমধু ও ঘি একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক ফরসা হয়।
চুল :
যষ্টিমধু, তিলের তেল ও আমলকী একত্রে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়, খুশকি থাকে না।

Title

হাত পায়ের যত্ন

পায়ের যত্ন ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত সারা বছর। তবে রোদ-বৃষ্টির মাতামাতিতে তা যেন আরও বেশি দরকার। কখনো বৃষ্টি, কখনো রোদের দাপটে হার মানছে হচ্ছে আমাদের ত্বক।এই সময়ে হাত-পায়ের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায়।



বৃষ্টির কারণে ফাংগাল ইনফেকশন হয়। এ জন্য খুব ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করা উচিত। সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব করলে ভালো হয়। চালের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস, গাজরের রস ও মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো হবে। গরম পানির মধ্যে আধ চামচ শ্যাম্পু, একটু লবণ দিয়ে পা ডুুবিয়ে রাখতে পারেন ১০-১৫ মিনিট। ব্রাশ দিয়ে এরপর পা ঘষে নিন। বাজারে মাটির ঝামা কিনতে পাওয়া যায়, সেটা দিয়ে গোড়ালির নিচের অংশটুকু ঘষে নিন। মরা চামড়া উঠে যাবে।

বাজারে মেনিকিউর, পেডিকিউর কিট কিনতে পাওয়া যায়। এতে নখ পরিষ্কার করার সামগ্রীও থাকে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। নখে একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে নখের চারপাশ পরিষ্কার করে নিন। লেবুর রসও খুব ভালো পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। সবশেষে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুবার এভাবে যত্ন নিলে হাত পা দুটি ভালোই থাকবে। তবে নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। লেবু যাতে ত্বকে খুব একটা না লাগে সেদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অনেকের ত্বকে এতে জ্বালাপোড়া করে।

কনুইয়ের অংশে অনেক সময় কালো ছোপ পড়ে যায়। মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে ঘষুন। কালো ছোপ কমে যাবে। ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে অনেকের হাত-পায়ে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। দুধ, মধু, লেবুর রস, মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে একটু ঘন পেস্টের মতো করে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন ব্যবহারে সুফল পাবেন। এ ছাড়া তিলের পেস্ট, কাঠ বাদাম ও ময়দা মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বক ছাড়া প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটি ভালো। তেঁতুল ও মধুর মিশ্রণ লাগাতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা। যাঁরা এ সময় শুষ্কতায় ভুগছেন, তাঁরা ঘরোয়া ময়শ্চারাইজার বানাতে পারেন। তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগালে শুষ্ক ভাব কমে যাবে। এ সময় ত্বক যেন অনেক সময় ধরে ভেজা না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।

Title

রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের যত্ন



কর্মব্যস্ত আপনি বাড়ি ফিরে একটু পানি গরম করে নিন। পা দুটি গরম পানিতে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এতে আপনার সারা দিনের ক্লান্তি যেমন দূর হবে, পাশাপাশি দূর হবে সারা দিনের পায়ে লাগা ধুলাবালি আর ময়লা। ঝামা পাথর দিয়ে গোড়ালি হালকা ঘষেও নিতে পারেন। তার পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

Title

কোঁকড়া চুলের যত্ন



যাদের মাথায় কোঁকড়া চুল আছে, তাদের অবশ্যই মাথার তালু পরিষ্কার রাখতে হবে। যেহেতু এ ধরনের চুলের গোড়ায় বাতাস পৌঁছাতে পারে না, তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার না রাখলে চুলের গোড়ায় ফুসকুড়ি ওঠা, খুশকিসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গোসল করার পর কোঁকড়া চুল ভালো করে না শুকালে চুলের গোড়ায় পানি জমে থাকে। তাই গোসল শেষে চুলগুলো ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এরপর ফ্যানের বাতাসে দুই হাত দিয়ে চুলগুলো ফাঁক ফাঁক করে শুকিয়ে নিন। কোঁকড়া চুলের ধরন খুবই রুক্ষ। তাই চুল শুকাতে কখনোই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
যেহেতু এ ধরনের চুলে খুব জট লেগে থাকে, তাই চুল শুকানোর পর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে।
মেথি গুঁড়া, টক দই, ত্রিফলার রস (আমলকী, হরীতকী, বহেরা) একসঙ্গে মিশিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এই মিশ্রণ চুলে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের জট অনেকটা কমবে।
চুলের গোড়ায় ঘাম জমে চুল পড়ে যায়। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে চুলে ভাতের মাড় মেখে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এ ধরনের চুলে প্রয়োজন প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট। তাই ১৫ দিনে একবার ডিম, টক দই, নিমপাতা বাটা, পেঁয়াজের রস, মেথি গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মতো রাখতে হবে। পুরোপুরি শুকানোর আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে।
একইভাবে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে ডিম ও কলার মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
গরমে মাথার তালুতে অনেক সময় ফুসকুড়ি ওঠে। দূর্বাঘাসের মুথা ও স্বর্ণলতা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। শীতকালে খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে।
এ ছাড়া প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এক কাপ চায়ের লিকারের সঙ্গে (দুই টেবিল চামচ করে ভিনেগার, কফি, সেদ্ধ বিটের রস) একসঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য নারকেল তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারী। নারকেল তেল গরম করে হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে বৃত্তাকারভাবে মালিশ করতে হবে। এরপর গরম পানিতেই তোয়ালে ভিজিয়ে ভালোভাবে চিপে মাথায় পেঁচিয়ে ধরতে হবে। এতে চুলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।
এ ধরনের চুল যাদের রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও পানি খেতে হবে। পাশাপাশি খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ। কারণ সামুদ্রিক মাছ খেলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

Title

গরমে চুলের যত্ন

গরমে চুল সুন্দর রাখতে আমাদের যা করতে হবে তার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস :

- সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করতে হবে

- রাতে ভাল করে তেল ম্যা

সাজ করুন - গরমে চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, রোদে পোড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে হলে গরমের শুরুতেই চুল ট্রিম করিয়ে নিন

- চুল ছোট না করতে চাইলে টুপি ব্যবহার করতে পারেন, স্কার্ফ বা ক্লিপ দিয়ে চুল বেধেও রাখতে পারেন।তবে বেশি টাইট করে চুল বাধবেন না,খেয়াল রাখবেন চুলের মধ্যে যেন হাওয়া চলাচল করতে পারে।

- ধুলো-ময়লা, বৃষ্টির পানিতে ভিজে অনেক সময় চুল নিস্তেজ হয়ে যায়। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে মেথি পেস্ট মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। চুল ঘন ও উজ্জ্বল থাকবে।

- দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

- বাইরে বেরোনোর সময় চুল বেঁধে রাখুন। বাইরের রোদ ময়লা থেকে অনেক খানি রক্ষা পাবেন।

- গরমে তাপমাত্রা বাড়লে মাথার তালুও ঘামতে শরু করে। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে চুল ভাল করে শুকিয়ে নিন। তারপর বড় দাতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে শুকিয়ে নিন।

- নারকেল তেলের সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়া করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলেও চুল পড়া কমে।

- আরও মনে রাখুন ঘুমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকাভাবে চুল আঁচড়ে নেবেন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়।

- চুলপড়া রোধ করতে লাইফ স্টাইল ও ডায়েটেও পরিবর্তন আনা জরুরি। অর্থাৎ ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলুন। সবুজ শাকসবজি, ফলমূল বেশি খান। বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার ও প্রচুর পানি পান করুন।

প্রতিকদিন কিছুটা সময় চুলের যত্ন নিন। এভাবে নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে দেখবেন গরমেও আপনার চুল থাকবে প্রাণবন্ত ঝলমলে।

Title

ছেলেদের চুলের সমস্যার ও সমাধান

চুলের সমস্যা ছেলেদেরও কম নয়। ছেলেদের চুলের নানা সমস্যার সমাধানও আছে।



টাক পড়া:


মাথায় অকালে টাক পড়া ও পাকা প্রায় একই কারণে হয়ে থাকে। টাক পড়া ছেলেদের অন্যতম সমস্যা। অল্প বয়সী ছেলেদের মধ্যেও টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। অল্প বয়সে টাক পড়ার নানা কারণ আছে। টাক পড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলা যায়, যা শুরু হয় কপালের দুই পাশে রগের কাছ থেকে। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে এবং এটা আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন আপনার পুরো মাথার চুল পড়ে যায়। বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে এটি হতে পারে। আবার বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কারও কারও টাক পড়া শুরু হয়ে যায়। এ ছাড়া অল্প বয়সে চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়াদাওয়া একদম কমিয়ে দেওয়াও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সুষম খাবারের বদলে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চকলেট ইত্যাদি খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়েও চুল পড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আঁচড়ালে সাধারণত কপাল চওড়া হয়ে থাকে। ব্যাকব্রাশ করার কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়তেও দেখা যায়।



চুল পাকা:


অনেক সময় অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। অনেক কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। চুলের গোড়ায় থাকা মেলানোসাইটের কারণে চুলের রং কালো হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে মেলানোসাইট ক্ষতিগ্রস্ত হলেই চুল সাদা হয়ে যায়। অনেক সময় চুলের গোড়ায় খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে অল্প বয়সে ছেলেদের মাথার চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। তবে পাকা চুলের ব্যাপারে বংশগত ধারা একটি বিরাট কারণ। পাকা চুল ঢাকতে চুলে কালার করা যেতে পারে। একবার চুল পাকলে তার প্রতিকার করা যায় না। তবে হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুল পাকা থেকে কিছুটা রোধ করে। চুল পাকা কমাতে হরীতকী, মেহেদিপাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে টনিক হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে চুল পাকা কমে যেতে পারে। এ ছাড়া জবাফুল বাটা, গন্ধরাজ বাটা, আমলা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল কালো ও উজ্জ্বল হয়।



চুল পড়ার কারণ:


সর্বদা দুচিন্তা, ভয়, আশঙ্কা, অশান্তির মধ্যে কাটালে অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে।টাটকা শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি পরিমাণমতো না খেলে চুল পড়ে বা পেকে যেতে পারে।নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম না করলে শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে না। এ থেকেও চুল পড়ে।সৌন্দর্যচর্চার নানা কৃত্রিম পদ্ধতি বেশি ব্যবহারের ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারবার রিবন্ডিং, রং করা চুলের ক্ষতির কারণ।পরিবেশদূষণ, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ ইত্যাদি পরোক্ষভাবে দায়ী চুল পড়ার জন্য।



খুশকি:


ছেলেদের মাথায় বিভিন্ন কারণে খুশকি হয়ে থাকে। খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। খুশকি প্রায় সব ছেলের কমবেশি হয়ে থাকে। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখুন। তাতেই খুশকি অনেক কমে যাবে।মেথিবাটা, পেঁয়াজ, নিমপাতা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। আপনার ব্যবহূত চিরুনি ডেটল পানিতে ধুয়ে ব্যবহার করুন। ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালেও খুশকি কমে যেতে পারে।অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে মাথায় তেল দেওয়া বন্ধ রাখুন। খুশকিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখুন। এক দিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। দুই সপ্তাহের মধ্যে খুশকি কমে যেতে পারে। টকদই ও মেহেদিবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মাথায় চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩৫-৪০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। দু-তিনবার ব্যবহারে আপনার খুশকি চলে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর। দুই থেকে তিন দিন বা সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করতে পারেন।
তিলের তেল, মেথি গুঁড়ো করে মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে দিন। তারপর ওই তেল দুই মাস ব্যবহার করুন। খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন। পাশাপাশি চুল পড়াও অনেক কমে যাবে।কাঁচা পেঁয়াজের তেল খুশকি দূর করে।পুরোনো তেঁতুল গুলিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি দূর হবে।

Title

রাতে চুলের যত্ন

রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের কভারের ঘষায় চুল ঝরা, চুলের গোড়া আলগা হওয়া, চুলের আগা ভাঙ্গা, উজ্জ্বলতা কমা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। ঘুমানোর আগে আরো কিছু ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

* চুল ভেজা থাকলে চুল শুকিয়ে ঘুমাতে যাবেন। চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে মোটা তোয়ালে দিয়ে মুছে তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকা করে আঁচড়ালে ভালো হয়। ভেজা চুল জোর করে আঁচড়ালে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে চুলে জট পড়ে।

* বিশেষ কোনো হেয়ার স্টাইল করতে চুলে প্রচুর ক্লিপ, বিডস দিয়ে চুল বাঁধলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এগুলো খুলে চুল আঁচড়িয়ে বেধে তবেই ঘুমাতে যাবেন।

* হেয়ার স্টাইল করতে হেয়ার জেল বা স্প্রে ব্যবহার করা হয়। এসব ক্ষেত্রে বাড়ি ফিরে চুল ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে বা শ্যাম্পু করে নিতে পারলে ভালো।

* প্লাস্টিকের মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে জট ছাড়িয়ে নিন।

* প্রথমে সব চুল উল্টে নিয়ে পেছন থেকে সামনের দিকে কিছুক্ষণ আঁচড়ান। আবার কিছুক্ষণ সামনে থেকে পেছন দিকে আঁচড়ান। এভাবে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ে ঘুমাতে গেলে মাথার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুলপড়া কমে যাবে।

* চুল পরিষ্কার থাকলে রাতে চুলে তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। নারিকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল অল্প গরম করে মাথার তালু থেকে চুলের আগা পর্যন্ত পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এরপর পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন। সম্ভব হলে সপ্তাহে অন্তত এক দিন একটা ভিটামিন-ই ক্যাপসুল কেটে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। কাপড় দিয়ে তৈরি ব্যান্ড বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে ঘুমালে বালিশে তেল লাগবে না।

* কখনোই চুল খোলা রেখে ঘুমাবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাঝারি চুলে বেণি বাঁধা যেতে পারে। এ ছাড়া যাঁদের চুল ছোট তাঁরা উঁচু করে পনিটেল বেঁধে নিতে পারেন।

* চুল খুব টেনে বাঁধবেন না, এতে কপাল চওড়া হয়ে যাবে, আর চুল বেশি পড়বে।

* সকালে ঘুম থেকে উঠার পর অনেক সময় চুল নিস্তেজ থাকে। এ ক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠে মাথা নিচু করে হাত দিয়ে স্ক্যাল্পে সার্কুলার মুভমেন্টে (ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে) ম্যাসাজ করুন। এতে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং চুলের সতেজতা ফিরে আসবে।

* নাইলনের দাঁত আছে এমন ব্রাশ দিয়ে কোঁকড়ানো চুল আঁচড়াবেন না।

* অমসৃণ কভারের বালিশে ঘুমালে সারা রাত চুল ঘষা খায়। ফলে চুল রুক্ষ হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে দেখা দেয় আগা ফাটা ও চুল ভেঙে ঝরে পড়ার সমস্যা। চুলের এই ক্ষতি থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন সুতি, সার্টিন অথবা সিল্ক কাপড়ের কভার। যদি না থাকে, তাহলে সিল্কের স্কার্ফ বালিশে বিছিয়ে নিন।

Title

দ্রুত ঘন ও লম্বা চুল পেতে চাইলে করনীয় যে তিনটি কাজ



লম্বা চুলের সবচাইতে বড় সুবিধা হলো সহজে যে কোন স্টাইল করা যায়। এবং সব পোশাকের সাথে সব ধরণের সাজে ভালো লাগে। ইচ্ছে হলে স্ট্রেইট বা কার্লি করে ফেলা যায়। যে কোন ভাবে বাঁধা যায়। কিন্তু সমস্যা হলো চুল লম্বা ও ঘন করা নিয়ে। আবহাওয়ার কারণেই হোক কিংবা যত্নের অভাবেই হোক চুল দ্রুত বড় হতে চায় না। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল দ্রুত ঘন ও লম্বা চুল পেতে চাইলে করনীয় তিনটি কাজের তালিকা। কাজগুলো করে দেখুন কি দ্রুত চুল বাড়ছে।



চুলকে দিন প্রয়োজনীয় খাবার:


আমরা ডায়েট করে ওজন কমাই। আবার ত্বকের যত্নে খেয়ে থাকি অনেক ধরণের খাবার। কিন্তু ভুলে যাই চুলের কথা। চুলেরও প্রয়োজন খাবারের। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও প্রোটিন চুল দ্রুত বড় হতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার ও প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে।



ভালোভাবে চুল আঁচড়ান:


অনেকেই আছেন তাড়াহুড়ো করে চুল আঁচড়ান। এবং বাসা থেকে বের না হলে হয়তো আঁচড়ানই না। কিন্তু চুল বড় করতে চাইলে চুলের বৃদ্ধিতে দরকার চুলের গোঁড়ায় রক্ত সঞ্চালন। আর রক্ত সঞ্চালনের জন্য দ্রকার ভালো করে চুল আঁচড়ানো। রাতে ঘুমুতে জাবার আগে ১০০ বার চুল আঁচড়ে নিন হালকা করে কিন্তু ভালো মত।



চুল পরিষ্কার রাখুন:


সপ্তাহে প্রতিদিনই চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এক্ষেত্রে ব্যবহার করুন মৃদু শ্যাম্পু অথবা প্রাকৃতিক কোন হারবাল শ্যাম্পু। চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে দেবেন না। এতে চুল বৃদ্ধির হার কমে যায়।

Title

চুলের যত্নে তেল



তেলে চুল তাজা, তেল আসলে চুলের জন্য কতটা দরকারি? তেল কি চুলের খাবার? মোটেও না। তেল আসলে চুলকে তেলতেলে রাখে। মানে একটু চকচকে করে রাখা, এই যা। আরেকটা কাজ অবশ্য হয়। তেল একধরনের পরিষ্কারক। চুল ও মাথার ত্বকে কিছু ময়লা থাকে যেগুলো পানিতে দ্রবীভূত নয় তেলে দ্রবীভূত। এসব ময়লা তেলে দ্রবীভূত বলে তেল মাখার পর চুলে শ্যাম্পু করলে সহজেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। চুলে তেলের কাজ বলতে এটুকুই। তবে উল্টোটাও হয়। তেল ময়লা আটকাতেও সাহায্য করে। তাই বিজ্ঞাপনে যতই বলুক এই তেলে আছে অমুক ভিটামিন…ভাববেন এটা শুধুই বিজ্ঞাপনের চটক। আসলে চুলের রং কি হবে? কোঁকড়া না সোজা হবে, লম্বা বা ঘন হবে কি না এসব কিছুই বংশগত বা জেনেটিক। চুলের খাবার দিতে হয় ভেতর থেকে। প্রচুর পরিমাণে পানি খান। এবং পুষ্টিকর খাবার খান। শাক-সবজী খান, চুল সুন্দর থাকবেই। অনেকে বলেন আগের যুগে দাদী নানীরা তেল ব্যবহার করেই ঘণ চুল পেতো, কিভাবে? কারণ তখন ক্যামিকাল যুক্ত খাবারের প্রচলণ ছিলো না বললেই চলে। টাটকা খাবারে পুষ্টিমানও বেশী। ফ্রীজ ছিলো না বিধায়, টাটকা খাবার খেতো মানুষ যার কারণে তখন মানুষের শক্তি-পুষ্টির অভাব ছিলোনা। এখন মানুষ দিন দিন ফাস্টফুডের দিকে ঝুকে পড়ছে, এছাড়াও অনেকে না জেনেই চুলে নানান জিনিষ প্রয়োগ করছে, যা কিছুদিন পরেই চুলে জন্ম দেয় টাক কিংবা উঁকি দেয় পাকা চুল। চুলে তেল ব্যবহারের সময় একটু গরম করে নিন। তারপর হাতে নিয়ে বা তুলোয় ডুবিয়ে ভালো করে ঘষুন। গরম তুল চুলের ভেতর গিয়ে কিছুটা পুষ্টি দেয় সত্য, কিন্তু তার চেয়ে নব্বই গুণ বেশী কাজ করে পুষ্টিকর খাবার। সুপ্রাচীনকাল থেকে তেলের বহুল ব্যবহার ছিল। সচেতন মানুষের শরীরের সুস্থতাও। প্রচলিত নারকেল তেল, সয়াবিন তেল, জলপাই তেল, সরিষার তেলের পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে সূর্যমুখীর তেল, তিলের তেল, নিম তেল, তিসির তেল, ভুট্টার তেল। এসব তেলের সঙ্গে আবার ফুল, লতাপাতার মূলের নির্যাস যোগ করে সুগন্ধিযুক্ত উপকারী তেলের ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।

Title

ডায়েট টিপস

• প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা | মহিলাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস (২ লিটার), পুরুষদের জন্য ১২ গ্লাস(৩ লিটার) পানি খেতে হবে| এটি সারাদিনের সব রকমের পানীয়র হিসাব| তবে যারা ব্যায়াম করেন, তারা আরো বেশি পানি পান করবেন|

• রাতের খাবার ঘুমানোর তিন ঘন্টা আগে খেতে হবে|

• রাতে ঘুমানোর সময় ক্ষুধা লাগলে কিছু না খাওয়াই ভালো, তবে ননী/ফ্যাট ছাড়া দুধ খেতে পারেন|

• খাবারে শর্করার পরিবর্তে সবজি ও ফল রাখা, কারণ এগুলোতে আছে প্রচুর ভিটামিন, ফাইবার ও antioxidant.

• সালাদ বেশি বেশি খাওয়া, দুপুর ও রাতের খাবারের সাথে অবশ্যই সালাদ থাকবে|

• মাছ অবশ্যই খেতে হবে, মাংশ কম খেয়ে মাছ বেশি খেলে ভালো | লাল মাংশ : যেমন গরুর মাংশ না খাওয়া ভালো |

• সাদা আটার রুটি না খেয়ে, লাল আটার রুটি খাওয়া| কারণ লাল আটা complex carbohydrate, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী| তেমনি সাদা শর্করা যেমন সাদা চালের ভাত বাদ দিয়ে, লাল চাল খাওয়া ভালো |

• বিনস( যেমন: red kidney beans), কাচা ছোলা এগুলো প্রতিদিন খেতে হবে| কারণ এগুলো তে আছে কম ফ্যাট, এবং cholesterol কমানোর উপাদান | তাছাড়া ভিটামিন বি, potassium, fiber ও আছে এগুলোতে| যা হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় |

• ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়া, অবশ্যই ননী বিহীন দুধ |

• প্রতিদিন টক দই খাওয়া, চিনি ছাড়া|

• মহিলাদের জন্য calcium সমৃদ্ধ খাবার : দুধ, টক দই প্রতিদিন খেতেই হবে

• ভাত কম খেয়ে, সবজি, ফল,সালাদ বেশি খাওয়া|

• পরিমিত পরিমানে খাওয়া |

• প্রতিদিনে ৫/৬ বার খাওয়া |

• দুই, তিন ঘন্টা পর পর ২০০/৩০০ ক্যালরি খাওয়া সব চাইতে ভালো অভ্যাস

• সকালের নাস্তা অবশ্যই খাওয়া

• ভাজা পোড়া, বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা|

• প্রানিজ আমিষ সবসময় না খেয়ে উদ্ভিজ আমিষ বেশি খাওয়া |কারণ উদ্ভিজ আমিষ এ ফ্যাট কম থাকে |

• প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম snacks হিসাবে খাওয়া, এতে ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ে, cholesterol কমে|

• প্রতি বার খাবারে আমিষ খেতে হবে পরিমান মত| আমিষ হতে পারে: মাছ, সাদা মাংশ ( মুরগির মাংশ ইত্যাদি) , বিনস, বাদাম, ডাল, পনির, দই ইত্যাদি | কারণ আমিষে শর্করার তুলনায় কম ক্যালরি থাকে, এটা পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে | এটা muscle গঠনেও সহায়তা করে| পুরুষরা কিন্তু বেশি বেশি আমিষ খাবেন|

• ওজন কমাতে চাইলে চিনি একেবারে বাদ দিতে হবে| মিষ্টি জাতীয়, চিনি যুক্ত খাবার বাদ দিতেই হবে |

• বেশি তেল ও মশলা যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে| তবে মশলা ভালো, বিভিন্ন রকম মশলার বিভিন্ন গুনাগুন আছে| তবে পরিমানমত দিয়ে রান্না করতে হবে|

• ভাজা, ভুনা নয়, সিদ্ধ, grilled, broiled উপায়ে রান্না করতে হবে|

• খাবারের মেনুতে প্রচুর ফাইবার সমৃধ্য খাবার যেমন: লাল আটা , শাক , বিনস,সালাদ, সবজি, ফল, oats,cornflakes রাখুন| কারণ ফাইবার ওজন কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় , এবং cholesterol কমায়|
মহিলাদের জন্য ২১-২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৩০-৩৮ গ্রাম ফাইবার খেতে হবে প্রতিদিন|

• খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন না খাওয়া | কারণ অতিরিক্ত লবন শরীরে পানি আনে, blood pressure ও ওজন বাড়ায়| রান্নাতেই অনেক লবন থাকে, বেশি লবন খাবার দরকার নেই|

• সপ্তাহে একদিন নিজের পছন্দের খাবার খাওয়া| এটা খাওয়ার রুচি বাড়িয়ে, একঘেয়েমি কমাবে | শরীর একরকম খাবারে অভ্যস্ত হলে সেই ডায়েটিং কোনো কাজে আসবে না | এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেই, যা অনেকেই ভুল করে| যেমন আমাকে বাইরে restaurant এ , কোনো program এ খেতে দেখলে সবাই অবাক হয়ে জিগ্গেস করে কেন আমি উল্টা পাল্টা খাবার খাচ্ছি, কারণ সপ্তাহে একদিন অন্যরম বা প্রিয় খাবার পরিমান মত খেলে কোনো অসুবিধা নেই, বরং এটা শরীরের জন্য ভালো | সেক্ষেত্রে restaurant এ গেলে পরিমানমত খেতে হবে, একবারে কখনই বেশি খাওয়া যাবে না| যে পরিমান খাবার একজনের জন্য restaurant এ দেয়, তা দুজন, তিনজন ভাগ করে খাওয়া উচিত, কারণ এত বেশি পরিমান একসাথে খাওয়া ঠিক নয়|

Title

তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য

আমাদের প্রতিদিনের জীবন ধারণের পদ্ধতি দেহে এবং চেহরায় বয়সের প্রভাব ফেলে। আমাদের জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ এবং কিছু বিষয় মেনে চললে আমাদের বহুদিন তারুণ্য ধরে রাখা অসম্ভব কিছুই নয়। চলুন চেষ্টা করেই দেখুন:

১. খাবারের তালিকায় টমেটো রাখুন। নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস বর্তমান বয়স থেকে কম বয়সী দেখায়
২. সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক সুসম্পর্ক থাকলে বয়স অনেক কম দেখায়
৩. প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন
৪. চকলেট পছন্দ করেন? প্রতিদিন চকলেট খেলে বয়স কম দেখাবে
৫. মন খুলে হাসতে পারলে আয়ু বাড়ে
৬. প্রতিদিন ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন
৭. প্রচুর পানি পান করতে হবে
৮. সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
৯. ভিটামিন জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেলে বয়স কম দেথায়
১০. সুন্দর হাসির জন্য প্রয়োজন সুস্থ দাঁত। দাঁতের সঠিক যত্ন নিলে বয়স কম দেখাবে
১১. সকালে নিয়মিত সকালের নাস্তা খান
১২. রাতে খুব ভালো ঘুম আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে
১৩. নিয়মিত যে কোনো ধরনের বাদাম আমাদের ত্বক সজীব রাখে
১৪. দুশ্চিন্তা এবং হতাশা আমাদের জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয়। আর বয়সের তুলনায় আমাদের বুড়ো দেখায়।

Title

বিউটি টিপস: ছেলেদের জন্য



সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সৌন্দর্যের মূল কথা। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের প্রয়োজন তো রয়েছেই, কিন্তু তার সঙ্গেও জরুরি শারীরিক সুস্থতা। কারণ সৌন্দর্য শুধু রূপচর্চার ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে রয়েছে সিজনাল চেঞ্জ, পলিউশন, মেন্টাল স্ট্রেস, দীর্ঘক্ষণ এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে থাকার মতো সমস্যা। তাই ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল কেয়ারের মধ্যে যথাযথ ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করুন। কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে আপনার ত্বক সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠবে তা জেনে নিন।



ব্যালেন্সড ডায়েট:


ত্বকের সুস্থতার জন্য ন্যাচারাল ফুড জরুরি। ন্যাচারাল ফুড মানে সবজি, ফল, অঙ্কুরিত ছোলা, দই, সিরিয়াল ত্বকের পক্ষে উপকারী। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান জরুরি। এছাড়া ফল বা সবজির রসও শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য উপকারী। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারে ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম যথাযথ পরিমাণে থাকলে ব্যয়বহুল ফেশিয়াল ট্রিটমেন্টের তেমন প্রয়োজন পড়ে না।।



এক্সারসাইজ:


এক্সারসাইজ রক্ত চলাচল ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যকলাপে সাহায্য করে। এর ফলে স্কিন ও স্ক্যাল্পে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হয়। মেন্টাল ট্রেস থেকে ত্বক ও চুলে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত এক্সারসাইজ এ সমস্যার সমাধানে কাজ করে।।



ঘুম ও রিল্যাক্সেশন:


ডায়েট ও এক্সারসাইজের সঙ্গে জরুরি ঘুম ও রিল্যাক্সেশনের। ঘুমের সময় বডি সিস্টেম স্লো ডাউন হয়ে যায়। সেল রিনিউয়াল প্রসেস শুরু হয়।।



নিজের ত্বকের ধরন বুঝে নিন:


কসমেটিক ব্যবহারের আগে নিজের স্কিন টাইপ বুঝে নেওয়া সবচেয়ে প্রয়োজন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মুখ ধোয়ার আগে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছুন। টিস্যু পরিষ্কার হলে বুঝবেন আপনার নর্মাল ও ড্রাই স্কিন। সমান্য তেলাভাব থাকলে নর্মাল ও অয়েলি স্কিন। কপাল, নাক, থুতনি মুখের বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদা আলাদা টিস্যু ব্যবহার করুন। কম্বিনেশন স্কিন কি না বুঝতে সুবিধা হবে। অয়েল গ্লান্ডের ওপর আপনার ত্বক কি ধরনের তা অনেকটা নির্ভর করে। ত্বকে সেবাম অয়েলের এ ব্যালেন্স নানা কারণে ব্যাহত হতে পারে, যেমন বেশিক্ষণ রোদে থাকা, শুকনো আবহাওয়া, সাবান, ক্লোরিন যুক্ত পানির ব্যবহার, এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে বেশিক্ষণ থাকা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স। এর ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, অ্যাকনে বা র্যাশের মতো সমস্যা দেখা যায়। তাই ক্লিনজার, টোনার, ময়শ্চারাইজার কেনার সময় নিজের স্কিন টাইপের সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যাগুলোর কথাও মনে রাখা দরকার। যেমন বেশিক্ষণ রোদে ঘুরে কাজ করতে হলে আপনার প্রয়োজন সানস্ক্রিন, পলিউশনের জন্য দরকার ভালো ক্লেনজার।।



ধুলো-ময়লা, পলিউশন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন:


এয়ার পলিউশনের কারণে ত্বকের ওপর টঙ্কিন জাতীয় পদার্থ জমতে শুরু করে, ফলে স্কিন সাপোর্টিভ টিস্যু ড্যামেজড হয়। প্রে-ম্যাচিউর এজিংয়ের সমস্যা শুরু হয়। এর থেকে ত্বককে সুরক্ষার জন্য জরুরি নিয়মিত ক্লিনজিং। ক্লিনজিং ক্রিম বা ক্লিনজিং মিল্ক এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। রোদ থেকে সুরক্ষারপাশাপাশি ধুলো-ময়লা থেকে ত্বককেও রক্ষা করবে। সপ্তাহে না পারলেও মাসে অন্তত এক বার ফেসিয়াল করুন।

Title

নিজেই করুন নিজের ফেসয়াল


ফেসয়াল মূলত করা হয় ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য। এছাড়াও দাগের জন্য, ব্রণের জন্য, মেছতা, এলার্জি, এ্যানি, রংয়ের ময়লা পরিষ্কার করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ফেসয়াল করা হয়। তবে ত্বকের ধরন বুঝে ফেসয়াল করা উচিত।.... ১৮ বছরের পর থেকে হারবাল ফেসয়াল করা যায়, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেই। সাধারণত ত্বকের সতেজতা, উজ্জ্বলতা এবং ময়লা পরিষ্কারের জন্য ফেসয়াল সবসময় করা যায়। তবে যাদের ত্বকের সমস্যা আছে তারা সপ্তাহে একবার করে মাসে চার বার এবং যাদের সমস্যা নেই তারা সতেজতার জন্য মাসে একবার ফেসয়াল করতে পারে। তবে যারা প্রতিনিয়ত করে তাদের ত্বকে কোন সমস্যা হয়না।



বাসায় করার জন্য কিছু ফেসয়াল প্যাকের ব্যবহারের নিয়ম নিচে দেয়া হল:


নিম ফেসয়াল:

দাগ, অল্প মেছতা, এলার্জি ইত্যাদি সমস্যার জন্য এই প্যাকটি বাসায় এনে প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেই। বরং এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই প্যাকটির দাম মাত্র ৪০ টাকা। বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে একটি প্যাকই ব্যবহার করা যায় অনেক দিন।



এন্টি পিমপল:

মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ থাকলে এই প্যাকটি এনে এক দিন পর পর ব্যবহার করা যেতে পারে। শারীরিক কোন অসুস্থতা না থাকলে অবশ্যই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই প্যাকটির দাম ৪০ টাকা। একইভাবে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।



পার্ল:

সপ্তাহে একদিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যায়। এই প্যাকটি ২৫০ গ্রাম। একইভাবে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে যত কিছুই মুখে লাগানো হোক না কেন বাহির থেকে ফিরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তা নাহলে মুখে ময়লা জমে বিভিন্ন সমস্যা হবে। আর মুখের ত্বক অনেক বেশি কোমল বলে অবশ্যই ত্বকের সমস্যার জন্য কোন অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানের অথবা কোন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

Title

সাজগোজের পর কিভাবে make-up তুলতে হবে



সেজেগুজে নিজেকে সুন্দর করে তোলা তো হলো। এরপরের করণীয়টা কি সবসময় মনে থাকে! পার্টি থেকে ফিরে আলসেমিতে অনেক সময় মেকআপটা তোলা হয়না। সেই নিয়েই ঘুম। তার ফল? ত্বকে ব্রণ, দাগসহ নানা সমস্যা।

* তৈলাক্ত ত্বক হলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পুরো মুখে লোশন মেখে কিছুক্ষণ রাখুন। পরে তুলা দিয়ে মেকআপ তুলে ফেলুন।

* শুষ্ক ত্বক হলে তুলাতে পানি আর তেল মিশিয়ে তা দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করা যেতে পারে।

*হালকা মেকআপ করলে তুলায় ক্লিনজার মেখে মুখটা পরিষ্কার করা যেতে পারে।

* কম ক্ষারযুক্ত ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

* মুখ পরিষ্কার শেষে মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

* ভারি মেকঅঅপ করা হলে এর পর টানা কয়েক দিন মুখে প্যাক ব্যবহার করা ভালো।

* ত্বক তৈলাক্ত হলে পাকা পেঁপে বা পাকা কলা চটকে প্যাক তৈরি করে মুখে মাখতে হবে।

* চালের গুঁড়া, টকদই, শশা, গাজরের রস, মুলতানি মাটি দিয়ে প্যাক তৈরি করে চাইলে ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

* শুষ্ক ত্বক হলে ময়দা, দুধ, মধু, মুলতানি মাটি দিয়ে পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে।

* হেয়ার সেপ্র, আয়রন মেশিন বা বিভিন্ন রকমের হেয়ার ক্রিম ব্যবহারে চুল জট পাকিয়ে যায়। তাই তেল দিয়ে আগে জট ছাড়াতে হবে।

* তেল মাখা চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।

* ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।

* নিয়মিত তেলের সঙ্গে মেথি, আমলকী মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করা যেতে পারে।

* চুলে নিয়মিত মেহেদি দেওয়া ভালো।

* চুলের গোড়ায় লেবুর রস দিয়ে ম্যাসেজ করা যেতে পারে। তবে বেশি সময় ধরে না করাই ভালো।

* এসব যত্নআত্তির পাশাপাশি পার্টিতে খাবারের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে । তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। অন্যদিকে ভারী খাবারের সঙ্গে সালাদ আর তরল খাবার বেশি খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর ফলমূল, সবজি খেতে হবে এমনটাই মনে করেন তিনি। কেননা সুস্থ, সুন্দর ও সজীব ত্বক সবারই কাম্য।

Title

কোন ত্বকের জন্য কিভাবে মেক-আপ করতে হবে



তৈলাক্ত ত্বক


* প্রথমে ত্বক পরিস্কার করুন। তারপর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন লাগান।

* ১০ মিনিট পর কম্প্যাক্ট পাউডার লাগান। ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। কম্প্যাক্ট লাগালে ত্বকে অতিরিক্ত চকচকে ভাব থাকে না।

* ফাউন্ডেশন লাগাতে চাইলে ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন লাগান।

* ত্বকে লাগানোর আগে একফোঁটা জল মেশান। না হলে কেক ফাউন্ডেশন বা প্যানস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে লাগানোর আগে অল্প জল মিশিয়ে নেবেন।

* ফাউন্ডেশন লাগানোর পর পাউডার লাগান। মুখে ফাউন্ডেশন সেট করা যাবে।

* পাউডার ব্লাশার ও আইশ্যাড ব্যবহার করুন।



রুক্ষ ও পরিণত ত্বক


বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ পড়তে থাকে। ত্বক অনুজ্জ্বল লাগে। ত্বক শুস্ক হয়ে পড়ে। ত্বকের যত্ন ও মেক-আপের প্রতি উত''সাহ কমে গেলে ট্রাই করুন সহজ কয়েকটি নিয়ম।

* সানস্কিন ও অ্যান্টিএজিং উপাদানসমুহ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই বয়সে স্কিন কেয়ারের জন্য উপযুক্ত।

* ভারী ফাউন্ডেশনে ত্বকের বলিরেখা আরও স্পস্ট হয়ে ওঠে। তাই লিকু্ইড ও পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। লিকু্ইড ফাউন্ডেশন লাগালে ত্বকের অনুজ্জ্বল ভাব ঢাকা পড়ে। পাউডার ফাউন্ডেশন লাগালে আলাদা করে কম্প্যাক্ট লাগানোর দরকার পড়ে না।

* থ্রি ইন ওয়ান আইশ্যাডো-লিপ কালার-চিক কালার স্টিক কিনে নিন। আইশ্যাডো, চিকবোনে লাগানোর পর ব্রাশ দিয়ে লিপ কালার হালকা করে লাগান।

* চোখে আইলানার লাগান। কালোর বদলে গ্রে, ব্রাউন, ল্যাভেন্ডার কালার ট্রাই করতে পারেন। কাজল পেনসিলের বদলে আইলানার পেন ব্যবহার করুন।

* শেষে মাসকারার টাচ দিন। চোখ বড় ও সুন্দর দেখাবে।

Title

চটজলদি মেক-আপ



* ময়শ্চারাইজার লাগান।
* স্কিনটোনের সঙ্গে ম্যাচিং পাউডার ফাউন্ডেশন লাগান ব্লাশ দিয়ে।
* তাড়াতাড়ির সময় পাউডার ব্লাশ ব্যবহার সহজ।
* চকচকে ভাব দূর করতে হালকা কম্প্যাক্ট লাগান।
* নাক ও টি জোনে পাউডার লাগান।
* আই পেনসিল দিয়ে লোয়ার আইলাইন হাইলাইট করুন। * ঠোঁটে লিপস্টিক লাগান।

Title

নিজেই করুন নিজের সাজ



ব্যস্ততা এখন সবারই, দাওয়াতের আগে পারলারে গিয়ে সাজা সব সময় হয় না। বাসায় বেইস মেকআপ করার সহজ পদ্ধতি ।

১. মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা তুলার সাহায্যে টোনার লাগান। না হলে ওয়াটার-বেইসড অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা ময়েশ্চারাইজার লাগান। এরপর পাঁচ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

২. এরপর কনসিলার লাগাবেন। বিশেষ করে চেহারায় যেসব জায়গায় কালো ছোপ বা দাগ আছে। চোখের নিচে কালি থাকলে সেখানেও ভালোভাবে লাগাতে হবে। যত্নের সঙ্গে কালো ছোপ দাগ বা স্পটের ওপর আঙুল দিয়ে মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বকের রঙের থেকে কনসিলারটি এক শেড গাঢ় হবে।

৩. গরমের কারণে লিকুইড ফাউন্ডেশন এড়িয়ে যান। প্রেসড পাউডার বা ডুয়েল ফিনিশড ফাউন্ডেশন লাগাবেন। খেয়াল রাখবেন রাতের বেলায় ফাউন্ডেশন লাগাবেন স্পঞ্জ ভিজিয়ে, দিনে পাউডার ফাউন্ডেশন হিসেবেই লাগাবেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে এক মাস পর পর স্পঞ্জটি বদলে নিন। দুটি স্পঞ্জ রাখুন। একটি শুকনো পাউডার লাগানোর ক্ষেত্রে, অন্যটি পানিতে ভিজিয়ে লাগানোর জন্য। ফাউন্ডেশনের রং হতে হবে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে। লাগানোর পর সাদা যাতে না লাগে। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর এক টুকরো বরফ পুরো মুখে হালকাভাবে ঘষে দিতে হবে।

মনে রাখবেন
রাতের বেলায় ইচ্ছা করলে স্টিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে প্যান ব্যবহার করতে পারবেন। এর ওপর লুজ পাউডার লাগিয়ে নিন। তবে এটা অনেক ভারী মেকআপ। দিনের বেলায় সানস্ক্রিন লাগাবেন মেকআপের আগে। মেকআপ সরঞ্জাম যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়। যত কম সম্ভব মেকআপ করবেন। ত্বকের সতেজ ভাব অনেক দিন ধরে রাখা সম্ভব মেকআপ কম ব্যবহারে ফলে।
খাবারের তালিকায় ফলমূল, শাকসবজি বেশি রাখুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ধৈর্য ধরে নিজের ত্বককে বুঝতে হবে। সময় দিতে হবে।

অন্যান্য পদ্ধতিতে

টোনার অথবা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পর নিচের পদ্ধতিগুলোয়ও যেতে পারেন—

মিনারেল পাউডার:

ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে না চাইলে এটি লাগাতে পারেন। পাউডার ব্রাশের সাহায্যে ত্বকের সঙ্গে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এতে ত্বক মসৃণ দেখাবে।

ব্রোঞ্জার:

বাজারে বিভিন্ন শেডের ব্রোঞ্জার পাওয়া যায়। নিজের শেড বুঝে কিনতে হবে। লাগাতে হবে পাউডার ব্রাশের সাহায্যে।

লুমিনেটর:

যাঁদের ত্বক ভালো, তাঁরা লুমিনেটর লাগাতে পারবেন। এটি লিকুইড লোশন। লাগানোর পর ত্বকে উজ্জ্বল একটি আভা আসবে। রাতে লাগালে ভালো লাগবে বেশি। হাতে নিয়ে আলতো করে লাগাতে হবে।

এবার পরিষ্কার:

মেকআপ ব্যবহারের পর তুলতে হবে ভালোভাবে। এ জন্য দরকার একটি মেকআপ ক্লিনজার। তুলার সাহায্যে ক্লিনজার দিয়ে ভালোভাবে মেকআপ তুলুন। এরপর ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুতে হবে। পরিষ্কার ত্বকে ক্রিম অথবা নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন।

Title

ঝটপট উৎসব চটপট তৈরি

বাঙালি উৎসবপ্রিয়। প্রায়ই কোনো কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। আজ বন্ধুর জন্মদিন তো কাল আরেকজনের বিবাহ বার্ষিকী। অনেক সময় কর্মক্ষেত্র বা অফিস থেকেই ছুটতে হয় অনুষ্ঠানবাড়িতে।

ঘরোয়া অনুষ্ঠান বলেই তো আর ঘরে আমরা যেভাবে থাকি সেভাবে যাওয়া যায় না। চাই একটু গোছগাছ, খানিকটা সাজুগুজু। আসুন জেনে নিই চটপট তৈরি হয়ে বেড়িয়ে পড়ার কিছু টিপস ।

* সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই অনুষ্ঠান বুঝে পোশাক পরে বেড়িয়ে পড়ুন

* ব্যাগে পেস্ট-ব্রাশ রাখুন। অফিস শেষে ওয়াশ রুমে গিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন

* মুখ ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন। সারা দিনের অফিস করার ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে

* মুখে হালকা করে ফাউন্ডেশন দিয়ে একটু ফেসপাউডার লাগিয়ে নিন

* চোখে কাজল, মাসকারা ও লাইনার লাগান, ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে হালকা আইশ্যাডো লাগান

* ঠোঁটে একটু লিপস্টিক দিন এবার দুই গালে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে দিন

* এক জোড়া পার্টি জুতা সবসময় অফিসে রাখুন

* রেডি হয়ে জুতা বদলে বেড়িয়ে পড়ুন অনুষ্ঠানবাড়ির উদ্দেশে সাজার এই উপকরণগুলো একটি ছোট বক্সেই পাওয়া যায়। কাজেই নো টেনশন।

Title

বিয়ের আগে রূপচর্চা



বিয়ে প্রতিটি মেয়ের জীবনেই অন্যরকম একটি মুহ‚র্ত। এ সময় সবাই চায় নিজেকে সুন্দর করে তুলতে। আর এর জন্য চাই পূর্বপ্রস্তুতি। বিয়ের কেন্দ্রীয় আকর্ষণই কনে। তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক বিয়ের অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে পার্লারে বা ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চা শুরু করা উচিত।
পাশাপাশি কনের সাজকে অতুলনীয় ও প্রাণবন্ত করে তুলতে রূপসজ্জার সঙ্গে সঠিক ডায়েট করতে হবে।



বিয়ের আগে ত্বকের যত্ন:


বিয়ের আগে ত্বকের জন্য নিয়মিত ফেসিয়াল করা যেতে পারে। ত্বকে ব্রণ বা মেছতা থাকলে একনি বা ফ্রুট ফেসিয়াল করে নিতে হবে। বিয়ের আগের এক মাস নিয়মিত পার্লারে যেতে পারলে ভালো। এ সময় প্রায় সব পার্লারে বিয়ের বিশেষ প্যাকেজ পাওয়া যাবে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এতে চোখের নিচের কালি দূর হবে। শসা ও আলুর রস গোলাপজলে মিশিয়ে ফ্রিজে ঠাণ্ডা করে নিয়ে তুলায় ভিজিয়ে চোখে দিতে হবে। এভাবে কিছুদিন মিশ্রণটি চোখে লাগালে চোখের উজ্জ্বলতা বাড়বে। চোখের ফোলা ভাব দূর করতে চোখের কাছে আমন্ড তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর পাকা কলা ও পেঁপে পাতলা করে কেটে চোখে দিয়ে রাখতে হবে। এতে চোখের ফোলা ভাব কমবে। ব্রণের দাগ কমাতে নিম এবং চন্দন বাটা একসঙ্গে মেখে ত্বকে লাগাতে হবে। ত্বকে যদি পোড়া দাগ থাকে তবে মসুর ডালের গুঁড়ো, কাঁচা দুধ, আলুর রস পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। ২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। মুখে কালো ছোপ বা মেছতার দাগ দূর করতে হলে কাঁচা দুধ, তুলসীপাতার রস, ময়দা পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। কালো ঠোঁটের জন্য আমন্ড তেল, দুধের সর ও মধু মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে। ঘাড় ও পিঠের কালো ছোপ দূর করতে মসুর ডাল বাটা, দই এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ঘাড় ও পিঠে লাগিয়ে রাখতে হবে। আধ ঘণ্টা পর আলতো করে ঘষে তুলে ফেলতে হবে।



হাত-পায়ের যত্ন:


হাত-পা কোমল রাখতে ভ্যাসলিন ও গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগাতে হবে। হাত-পায়ের কালো ছোপ দূর করতে পাতিলেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে লাগাতে হবে। এরপর পাতিলেবুর ছাল ঘষতে হবে যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। মাসে অন্তত দুবার মেনিকিউর ও পেডিকিউর করতে হবে। বাড়িতে করতে হলে প্রথমে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর ভালো করে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিতে হবে। এরপর পা ধুয়ে ভ্যাসলিন, স্ট্রবেরির শাঁস ও দুধের মাঠা মিশিয়ে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। কনুই বা হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে দুদিন পাকা পাতিলেবু ও চিনি মিশিয়ে ঘষতে হবে যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। এরপর গ্লিসারিন, নারিকেল তেল ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে হবে। নখে যদি হলদেটে ভাব থাকে তবে পাতিলেবুর রস লাগিয়ে ব্রাশ করে নিতে হবে।



চুলের যত্ন:


এক চা চামচ মধু ও যে কোনো ব্র্যান্ডের এক চা চামচ তেল একসঙ্গে মিশিয়ে তুলা দিয়ে মাথায় মাখতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। চুল ভালো রাখতে নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপ খাওয়া যেতে পারে। যদি শুষ্ক ও রুক্ষ চুল হয় তবে এক কাপ মাঠা তোলা দুধে একটা ডিম ভালো করে ফেটিয়ে মাথার স্কাল্পে লাগাতে হবে। ১০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তৈলাক্ত চুলের জন্য দুই মুঠ পুদিনা পাতা আধা গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি ২০ মিনিট ফোটাতে হবে। এরপর ৩০০ গ্রাম শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে পরে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও পার্লারে গিয়ে এই কন্ডিশনিং ম্যাসাজ ও মেহেদি ট্রিটমেন্ট করা যেতে পারে।



খাওয়া-দাওয়া:


খাবারের ক্ষেত্রে বেশি বেশি ভিটামিনযুক্ত খাবার যেমন ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’ আছে এমন ধরনের খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত পানি, শাকসবজি, দুধ, দই, পনির, টমেটো, গাজর খেতে হবে। এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং চুলকে সুন্দর করবে। ভাজাপোড়া যথাসম্ভব না খাওয়াই ভালো এ সময়। প্রচুর পরিমাণে ফলের রস ও তাজা ফলমূল খেতে হবে।

Title

বিয়ের কনের সাজ প্রস্তুতি



বিয়ের প্রস্তুতিতে শুধু রূপ নয় ব্যক্তিত্বেরও যেন প্রতিফলন ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। তাই কনের সামনে থাকতে হবে একটি গাইডলাইন। ত্বক এবং চুলের বাড়তি যত এ সময় অতি জরুরি। ত্বক পরিষ্কার, টান টান ভাব বজায় এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ফেসিয়ালের কোনও বিকল্প নেই।

ত্বকের ধরন অনুযায়ী এর পরিচর্যায় ফেসিয়াল এক কার্যকর উপায়।
তাই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হলে ভালো পার্লারে গিয়ে দক্ষ হাতে ফেসিয়াল করে নিন। ফেসিয়াল করতে হবে অন্তত ১ মাস আগে। তারপর ১৫ দিন পর আবার ম্যাসাজ করে নিন। ব্লিচ করে নিন। কারণ বিয়ের আগে স্বাভাবিকভাবেই নানা টেনশনের কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। এ কারণেই ত্বকের নিয়মিত যতœ নিতে হবে। আর ফেসিয়ালসহ নানা ধরনের ম্যাসাজ ত্বকের আর্দ্র্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে শুধু পার্লারে গিয়ে ত্বকের যতœ নিলেই হবে না, অবসর সময়ে ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বক পরিচর্যা করতে হবে।
ত্বকের যতেœ আলু এবং শসার রস খুব উপকারী। আলু এবং শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত সেটা ব্যবহার করতে পারেন। আবার দিনের যেকোনও সময় তুলায় গোলাপজল ভিজিয়ে মুখ, গলা এবং ঘাড় মুছে নিন। গোলাপজল খুব ভালো একটি কিনজারের কাজ করে।
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মসুর ডাল বাটা ব্যবহার করতে পারেন। যাদের মুখে ব্রণ আছে তারা নিম এবং তুলসী পাতার রসের সঙ্গে সামান্য চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট করে ব্রণের ওপরে লাগিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর হবে।
অনেকের মুখেই রোদে পোড়া ভাব দেখা যায়। এ সমস্যা দূর করতে চালের গুঁড়ো, মসুর ডাল বাটা, এক টেবিল চামচ টকদই, এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এবং সামান্য মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এবার ভালো ব্র্যান্ডের ক্রিম মেখে নিন।

শুধু মুখের যত্ন নিলেই হয় না, কনের হাত-পায়েরও পরিচর্যা করা জরুরি। হাত-পা পরিচর্যায় মেনিকিউর পেডিকিউর অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়াও ঘরেই নিতে পারেন যত্ন। একটি বড় বোলে কুসুম কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু গুলিয়ে হাত-পা ভিজিয়ে বসে থাকুন ১০ মিনিট। এবার পিউমিস স্টোন দিয়ে পায়ের তালু ঘসে নিন। নেইল কাটার দিয়ে নখ সেইপ মতো কেটে আবার গরম পানিতে ২ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর পানি থেকে তুলে সুতি কাপড় দিয়ে মুছে ভালো লোশন লাগিয়ে নিন।

Title

দাঁতের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস



দাঁত মানুষের সৌন্দর্যেতীর প্রতিক, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম সবার অনুধাবন করা উচিৎ। আপনি দেখতে যতই সুন্দর বা সুন্দরী হোন না কেন দাঁত সুন্দর না হলে আপনাকে হাসলে দেখাবে বিশ্রী, মুখ থেকে গন্ধ বেরোলে নানান বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে আপনাকে। তাই জেনেনিন দাঁত সুন্দর রাখতে ১০টি টিপস



দৈনিক দুইবার ব্রাশ করুনঃ


মানুষের ৭০% দাঁতের সমস্যা সমাধান হয়ে যায় যদি মানুষ প্রতিদিন নিয়ম করে দুইবার দাঁত ব্রাশ করে। প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে দুইবার ২-৪ মিনিট ভালো করে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।



ভালো মানের ব্রাশ ও পেস্ট ব্যবহার করুনঃ


এমন জিনিস দিয়ে কখনই দাঁত ব্রাশ করবেন না যা আপনার দাঁতের ভালো করার বদলে এনামেল ক্ষয় করে ফেলবে। একটি ভালো মানের দাঁতের ব্রাশ কিনে তা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। এছাড়া ভালো মানের ফ্লুরাইড আছে এমন দাঁতের পেস্ট ব্যাবহার করুন।



খাবার পর ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করুনঃ


আপনি যদি বেশী বেশী নাস্তা করে থাকেন তবে প্রতিবার নাস্তার পর অবশ্যই মুখের ভেতরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। বিশেষ বিশেষ খাদ্য যেমন-পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, টফি লজেন্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার পর উত্তমরূপে দাঁত পরিষ্কার করবেন।



দাঁতের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুনঃ


দাঁত ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য অবশ্যই বছরে অন্তত একবার দাঁতের ডাক্তারকে দাঁত দেখান। সাধারণত আমরা দাঁতকে হেলাফেলা ভাবে দেখি, হালকা সমস্যা ভেবে অনেক কিছুই এড়িয়ে যাই। মনে রাখবেন দাঁত মানুষের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ অঙ্গ ফলে দাঁতের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলাদা বিভাগ রয়েছে।



ধুমপান করবেননাঃ


ধূমপান আপনার স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতিকরে পাশাপাশি আপনার দাঁতের আরও বেশী ক্ষতি করে। সিগারেটে থাকা নিকোটিন দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। এছাড়া নিকোটিন দাঁতে কালো দাগ তৈরি করে। সুতরাং আপনি যদি ধূমপায়ী হন তবে ধূমপান ত্যাগ করুন।



ব্রাশ পরিবর্তন করুনঃ


দীর্ঘদিন একই ব্রাশ ব্যাবহার করা দাঁতের জন্য ভালো নয়। আপনি যদি প্রায় ১ বছর যাবৎ একই ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে থাকেন তবে এটি এখনই পরিবর্তন করে নিন।



স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ


আপনার নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আপনাকে যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে ঠিক তেমনি আপনার মূল্যবান দাঁত যেন ঠিক থাকে সে বিষয়ে নজর রেখে স্বাস্থ্য ও দাঁতের জন্য ভালো এমন খাবার গ্রহন করুন।



খাবার তালিকায় দুধ জাতীয় খাবার রাখুনঃ


দুধ আপনার দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। দুধ ও দুধ থেকে তৈরি খাবার খেলে আপনার দাঁত সাদা ও উজ্জ্বল হবে। চীজ, পনির, মাখন, দই ইত্যাদি দুধ থেকে তৈরি খাবার।



কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকুনঃ


আপনি আপনার দাঁতের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বোতলজাত কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। কোক অথবা পেপসিতে রয়েছে কেরামেল রং যা আপনার দাঁতকে বিবর্ণ করতে যথেষ্ট। তারপরও যদি এসব কোমল পানীয় খেতে চান তবে পাইপ বা স্ট্র ব্যবহার করুন।



সুতো দিয়ে দাঁত পরিষ্কারঃ


আমরা প্রতিবার খাবার গ্রহণ করার পর আমাদের দাঁতের ফাকে অনেক খাবার লেগে থাকে যা ব্রাশ কিংবা পানি দিয়ে পরিষ্কার হয়না, ফলে এক্ষেত্রে আপনি একটি চিকন সুতা দিয়ে দাঁতের ফাক সমূহ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন, দৈনিক অন্তত দুইবার এভাবে পরিষ্কার করুন।

Title

কালো ঠোঁট স্বাভাবিক করবেন যেভাবে



খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছুতে পারবেনঃ
•► প্রথমত, আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে, তবে তা এখনই ছাড়তে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

•► দিনে দু’বারের বেশি চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকুন।

•► অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

•► লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালোভাব দূর হবে।

•► মুলতানি মাটি, কয়েক ফোঁটা মধু ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।

•► ঠোঁটের কোনা অনেক সময় কালো হয়ে যায়, শসা ও পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার ঠোঁটে লাগালে উপকার পাবেন।

•► প্রতিদিন গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল, মধু ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগালে ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

•► রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নারিকেলের তেলের সঙ্গে বাদাম তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। সপ্তাহে দু’দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। কালো দাগ দূর হবে।

•► দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

•► ঠোঁটে লিপিস্টিক বা অন্য কিছু ব্যবহারের আগে সেটার মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন

Title

নখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা



কল্পনা করুন খুবই আকর্ষনীয় এবং ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একজন নারী। কিন্তু যখনই তিনি হাতটি উপরে তুললেন, তখন তার নখের ধরণ দেখে তার প্রতি জন্ম নেয় ইতিবাচক ধারণা নেতিবাচকে পরিণত হলো। তার ময়লা এবং বিবর্ণ নখ অযত্ন এবং অজ্ঞতারই পরিচয় বহন করে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানীকর তা নয়, অস্বাস্থ্যকরও বটে।

একই কথা খাটে পায়ের নখের ক্ষেত্রে। এর যত্নে অবহেলা আপনার ব্যক্তিত্ব খর্ব করার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং আপনার মুখ এবং ত্বকের যত্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সমানভাবে নখের দিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।

নখ পরিষ্কার রাখা খুবই সহজ। এর জন্য ভালো মানের হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করবেন। হাতের নখের ময়লাগুলো আলতো করে পরিষ্কার করুন। বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না। অনেক সময় দৈনন্দিন কাজে নখ এবং এর আশেপাশের ত্বকে দাগ পরে যায়। এই দাগ দূর করতে সহ্য করার মতো গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে হাত ডুবিয়ে রাখুন। লেবুর রস দাগও দূর করবে আর আপনার নখের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। পায়ের নখ পরিষ্কার করতে একটি সুতি কাপড়ে সবান পানি দিয়ে ঘষুন। এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন দুইবার নখ পরিষ্কার করা উচিত। এর সাথে সপ্তাহে একবার মেনিকিউর-পেডিকিউরও করা উচিত।

নখের কোমলতা


নখ পরিষ্কার করার পর একটি তোয়ালে দিয়ে নখে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। নখে পানি জমে থাকলে তা থেকে ইনফেকশন হতে পারে। এবার পায়ের নখে কোনো ভালো মানের ময়শ্চারাইজিং ক্রিম নখ এবং এর আশপাশের ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার নখের চারপাশের ত্বক কোমল থাকবে। হাতের নখের জন্য অলিভ অয়েল, এলমন্ড কিংবা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।



নখের সুস্বাস্থ্য


আপনার সুন্দর নখ প্রকাশ করে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং সুস্বাস্থ্য। যদি নখ হয় কোমল, মসৃণ এবং গোলাপী তাহলে বোঝা যাবে আপনার শরীরও সুস্থ্য আছে। ভাঙা, বিবর্ণ এবং দাগযুক্ত নখ কোন রোগ বা শারীরিক ভারসাম্যহীনতার চিহ্ন বহন করে। বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।

Title

সুস্থ থাকতে ব্যায়াম



নিয়মিত ব্যায়ামের উপকারিতা অনেক বেশি। ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, শরীরের ওজন কমে, ত্বক ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, ভালো ঘুম হয়, মানসিক চাপ কমে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা ছাড়াও আরও অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
আমাদের সুস্থ শরীর এবং মনের জন্য ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলেন, আমরা এতো ব্যস্ত থাকি ব্যায়াম করার জন্য সময় নেই। আবার অনেকেই আছেন সারাদিনে তেমন কাজ করেন না, তবুও তাদের ব্যায়াম করার সময় হয় না। কিন্তু কাজের কথা হচ্ছে প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা সময় ব্যায়াম করার জন্য বের করা উচিত।

জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার ইচ্ছা, সময় এবং সামর্থ্য সবার থাকে না। আর তাই শিখে নিন ঘরে করা যায় এমন কিছু হালকা ব্যায়াম।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পেছনের দিকে পা তুলে হাত দিয়ে ধরে রাখুন ১০ সেকেন্ড এক পা এভাবে রেখে ছেড়ে দিয়ে অন্য পা তুলে ধরুন এভাবে প্রতিদিন ২০ বার করুন প্রতি পা ৩ বার করে করার পর ৩০ সেকেন্ড বিরতি নিন।
সোজা হয়ে দাঁড়ান ঘাড়ের পেছনে হাত দিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে আসুন, যতদূর সম্ভব। এভাবে ১০ বার করুন। দাঁড়িয়ে দুই হাত কোমরে রেখে মাথা ডানে, বায়ে, সামনে এবং পেছনে এভাবে ১২ বার ঘোরান সোজা হয়ে শুয়ে মাথার পেছনে দুই হাত রেখে ওঠার চেষ্টা করুন, খেয়াল রাখবেন পা ভাঁজ করবেন না, এভাবে ৮ বার করুন

যেকোনো ব্যায়াম করার সময়ই কিছু বিষয় মাথায় রাখুন, সকালে হালকা কিছু খেয়ে ব্যায়াম করুন ব্যায়াম করার সময় আরামদায়ক পোশাক পরুন প্রথমেই বেশি সময় নিয়ে কঠিন ব্যায়াম করবেন না। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় বাড়ান ব্যায়ামের কিছু বই এবং সিডি পাওয়া যায়। এগুলো দেখে নিতে পারেন



নিয়মিত কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। দেহ-মনে সুস্থ থাকুন।

Title

পেটের মেদ কমাতে ব্যায়াম



খাবার নিয়ন্ত্রণ করছেন, নিয়মিত হাঁটাহাঁটিও করছেন, ওজনও একটু একটু করে কমছে, কিন্তু পেটটা তো কিছুতেই কমছে না। অনেকেই এ অভিযোগ করে থাকেন। পেটের চর্বি বা মেদ দেহের অন্যান্য মেদের চেয়ে আলাদা এবং বেশি ক্ষতিকর।

শরীরের অন্য অংশের মেদ সাধারণত ত্বকের নিচে জমে থাকে। কিন্তু পেটের মেদ ত্বকের নিচে ও পাশাপাশি যকৃৎ, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের গায়ে লেগে থাকে। তাই পেটের চর্বির সঙ্গে হূদেরাগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।

অনেকেই পেটের চর্বি কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করে থাকেন। কারও ধারণা, পেটের চর্বি সাধারণ ব্যায়ামে কমে না। এর জন্য আলাদা ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু আলাদা ব্যায়ামে পেটের পেশির আকৃতি সুন্দর হলেও চর্বি কমাতে খুব একটা কাজে আসে না। পেটের চর্বি কমাতে দেহের সার্বিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম এবং সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই যথেষ্ট।

সপ্তাহে চার দিন আধঘণ্টা অ্যারোবিক ব্যায়াম দেহের অন্যান্য মেদের সঙ্গে পেটের মেদকেও কমিয়ে আনবে। জগিং, ট্রেডমিল, সাইকেল চালানো ইত্যাদি হলো এ ধরনের ব্যায়াম। কেউ দ্রুত পেটের চর্বি ভাঙতে চাইলে আরেকটু বেশি ব্যায়ামের দরকার হতে পারে। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাঁটার পর দেহে সঞ্চিত চর্বি ভাঙতে শুরু করে এবং পেশি তা ব্যবহার করে। এই সময়ের পর আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট জগিং করলে বা জোরে হাঁটলে প্রতিদিন একটু একটু করে জমানো চর্বি কমতে থাকবে।

এর সঙ্গে চর্বি ও তেলযুক্ত খাদ্য পরিহার করে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় খাদ্য ও শাকসবজি গ্রহণ করতে হবে। পরিমিত আহার করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্রাম আঁশ খেতে হবে। মেদ কমানোর সাধারণ এসব উপায়ে দেহের অন্য অংশের মেদের সঙ্গে পেটের চর্বিও কমবে। এর জন্য আলাদা ব্যায়ামের দরকার হবে না।

Title

প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমান



বাড়তি ওজন আমাদের একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। আর তাই আমরা অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই। সাধারণত ওজন কমানোর জন্য আমরা খাওয়া কমিয়ে দেই অথবা দীর্ঘ সময় জিমে কাটাই। তবে অতিরিক্ত কম খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টায় আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ক্যালোরি না পেয়ে অপুষ্টিতে আক্রান্ত হতে পারে।

শরীরের কোন ক্ষতি না করে, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেও ওজন কমানো যায়। আসুন জেনে নেই:



খাবার বাছাই:


ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেখতে হবে, কোন খাদ্য আমাদের শরীরে অনেক বেশি সময় ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে গমের আটার রুটি আর সবজি খেতে পারি। বাইরের তেল মশলাযুক্ত খাবার না খেয়ে ঘরের খাবার খেতে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারলে শরীরের জন্য ভালো। শস্য জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া সহজ ও স্বাভাবিক করে। এতে শরীর বেশকিছু সময়ের জন্য ব্যস্ত থাকে এবং সারা দিনের শক্তি উৎপাদন এবং বণ্টন হতে থাকে। যার ফলে ক্ষুধার তীব্রতা হ্রাস পায়। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে। ডিম ছাড়া বেকড আইটেম এবং চিনি ছাড়া ফলের জুস খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন। ফাস্টফুডের পরিবর্তে প্রচুর ফল খাওয়ার অভ্যেস করুন। সপ্তাহে একদিন অন্য খাবার না খেয়ে শুধু ফল খেয়ে থাকতে পারেন।



পানি পান করুন:


আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।প্রত্যেক বার ক্ষুধার্ত হলে অথবা খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করুন।এভাবে নিয়মিত পানি পান আমাদের ক্ষুধা কমানোর কার্যকর একটি উপায়।



ধীর ধীরে খান:


খাবার খাওয়া কমাতে মানসিক প্রস্তুতি নিন। ধীরে ধীরে খেতে চেষ্টা করুন। খাবার সময় চিবানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এতে আমরা প্রতিটি কামড়ে বেশি তৃপ্তি পেতে পারি। একবারে বেশি করে খাওয়ার পরিবর্তে কয়েকবার অল্প পরিমাণে খান। এতে করে এই মানসিকতা জন্মায় যে আমরা বারবার খাচ্ছি। ফলে আমাদের খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে আরও সচেতনত হয়ে উঠবো।।



লিফটকে না বলুন:


আমরা অনেকেই ওজন কমাতে চাই। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না। এক্ষেত্রে আমাদের বাসা, অফিস শপিংসেন্টার যেখানেই যাই তিন চার তলায় ওঠার জন্য লিফটের অপেক্ষা না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার অভ্যেস তৈরি করতে হবে।

নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।

Title

হাঁটা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ

হাঁটার পরও ওজন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ ক্যালরী খরচের তুলনায় ক্যালরী গ্রহণ বেশি হওয়া।



হিসেব র্চাট:


১ ঘন্টায় হাঁটায় ক্যালরী খরচ ৩১৫
১০০ গ্রাম বাদাম = ক্যালরী গ্রহণ ৭০০
১৮০ গ্রাম চকলেট = ক্যালরী গ্রহণ ৬০০
১১০ গ্রাম ফ্রেঞ্চফ্রাই = ক্যালরী গ্রহণ ৪০০
২৩০ গ্রাম ভাত = ক্যালরী গ্রহণ ৩২০
১টি হটডগ = ক্যালরী গ্রহণ ৩৬০
১টি বারগার = ক্যালরী গ্রহণ ৫২০
২০০ গ্রাম পিজা = ক্যালরী গ্রহণ ৬৫০
১৫০ গ্রাম পেস্ট্রি = ক্যালরী গ্রহণ ৫০০
১ কাপ মিষ্টি দই = ক্যালরী গ্রহণ ৪০০
১ কাপ ডিমের হালুয়া = ক্যালরী গ্রহণ ৭০০
১ কাপ হালিম = ক্যালরী গ্রহণ ৫৩০
১টি সমুচা/সিঙ্গারা = ক্যালরী গ্রহণ ২২০



ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের খাদ্যের ক্যালরী খরচ ও গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওজন কমানোর চিকিৎসাঃ


১. সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা (ডায়েট র্চাট),
২. হাঁটা ও ব্যায়াম
৩. ক্যালরী খরচ ও ক্যালরী গ্রহণ সর্ম্পকে ধারণা

Title

সুস্থ থাকতে যোগ ব্যায়াম



সুস্থ থাকতে আমরা প্রতিদিন কত কিছুই না করি। শরীরের সুস্থতা আমাদের সকলের কাম্য। কারণ আমরা প্রত্যেকেই জানি শরীর ভালো তো সব ভালো। কথাটি আসলেই অনেক বেশি সত্য। দেহ ভালো না থাকলে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা দেহের জন্য উপকারী খাবার খাই এবং শারীরিক ব্যায়াম করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যোগব্যায়াম করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কিছুটা সময় বের করে যোগব্যায়াম করে আমরা দেহকে রাখতে পারি অনেক মারাত্মক রোগ থেকেও। চলুন তবে দেখে নিই প্রতিদিন যোগব্যায়ামের ফলে কিভাবে আমরা দেহকে রাখতে পারি সুস্থ।



মানসিক চাপ মুক্ত করে:


মানসিক চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি খারাপ। মানসিক চাপের কারণে আমরা অনেকেই অসুস্থ বোধ করি। এতে আমাদের মস্তিষ্কে অনেক চাপ পরে এবং মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। যোগব্যায়াম মানসিক চাপ মুক্ত করার সব চাইতে ভালো একটি উপায়। সকালের স্নিগ্ধ আলোয় ঠাণ্ডা কোনো স্থানে বসে অথবা সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে মাত্র ১০ মিনিটের যোগব্যায়াম মানসিক চাপ মুক্ত করবে নিমেষেই।



ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে:


মানসিক স্বস্তি আমাদের দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে করে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের দেহ যে কোন ধরণের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
যোগব্যায়ামের ফলে আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । এতে আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালন হয় ঠিক ভাবে। ফলে আমাদের দেহ সচল এবং মস্তিস্ক কর্মক্ষম থাকে।



দেহের বাড়তি মেদ দূর করে :


নিয়মিত যোগব্যায়ামের ফলে আমাদের দেহের বাড়তি মেদ দূর হয়। এতে করে আমরা ওজন সংক্রান্ত যে কোন ধরনের জটিলটা থেকে আমাদের দেহকে রাখতে পারি মুক্ত। যোগব্যায়াম আমাদের দেহকে ফিট রাখতে সহায়তা করে।



হৃদপিণ্ডের সুরক্ষায় যোগব্যায়াম :


যোগব্যায়ামের বিভিন্ন আসনের ফলে আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের নালীর ভালো ব্যায়াম হয়। নিয়মিত যোগব্যায়ামের ফলে দেহের বিভিন্ন শিরা উপশিরায় সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালনের ফলে হৃদপিণ্ডে কোন ধরণের ব্লক হওয়া থেকে মুক্ত থাকা যায়।



হাড়ের জয়েন্ট, পিঠ এবং মেরুদণ্ডের ব্যথা থেকে মুক্ত রাখে :


যোগব্যায়াম আমাদের দেহের বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টকে মজবুত করে তোলে। প্রতিদিন নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে আমাদের হাড়ের নমনীয়তা ঠিক থাকে এবং আমাদের হাড়ের জয়েন্ট, পিঠ এবং মেরুদণ্ড ব্যথা জনিত সমস্যার সমাধান হয়।

Title

চোখের নিচে কালি



যাদের চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যা আছে, তারা শসা চাক করে চোখের পাতায় ২০-২৫ মিনিট রাখুন। গোল আলুর রসও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন আইকেয়ার জেল পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে পারেন। মাঝেমধ্যে ঘড়ির কাঁটার দিকে অথবা বিপরীতে খুব হালকাভাবে চোখ ম্যাসেজ করতে পারেন। চোখকে বিশ্রাম দিন। দৈনিক অন্তত ছয় ঘটনা ঘুমান এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফলমূল খান।

Title

চোখের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস



প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। ক্লকওয়াইজ ও এন্টি ক্লকওয়াইজ চোখের মণি ঘুরিয়ে চোখের ব্যায়াম করুন। মাঝে মাঝে গোলাপ পানিতে চোখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। যারা বেশি মানসিক পরিশ্রম করেন, অনিয়মের মধ্য দিয়ে দিন কাটান, অনিদ্রা কিংবা রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন তারাই চোখের নিচে কালি বা চোখের চারধারে বলিরেখা এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে -

- আলু কিংবা শসার টুকরো চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। ক্লান্তি কাটবে। চোখের তলায় কালি থাকলে দূর হবে।

- বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করুন।

- যখন তখন চোখে হাত দিবেন না ও অযথা চোখ ঘষবেন না। ময়লা থেকে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘষাঘষিতে চোখের নরম ত্বকে বলিরেখা পড়ে।

- মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দইয়ের সাথে মিশিয়ে চোখের নিচে লাগালে উপকার পাবেন।

- তুলসি পাতাবাটা ও চন্দনবাটা গোলাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে চোখে লাগান।

- ঠান্ডা টি-ব্যাগ চোখের পক্ষে আরামদায়ক।

- ভিটামিন এ এবং ডি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, বিট, পেঁপে, ইত্যাদি পুষ্টিকর শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

- আধাঘন্টা নিয়মিত স্কিপিং, জগিং, সাঁতার, হাঁটা, দৌড়ানো যেকোন ধরনের ব্যায়াম করা খুবই ভালো।

- সাজগোজের সময় ভালো ব্র্যান্ডের মেকআপ ব্যবহার করা উচিত।



About


EAppBD is a mobile software development firm, Bangladesh, which is run by a team of young and energetic professionals who have extensive knowledge and experience in the mobile software industry. Using cutting edge technology and an efficient development model, the company is capable of producing state of the art applications for mobile devices across different platforms including but not limited to iOS (iPhone & iPad), Android, Windows Phone, Blackberry, etc.


app

Khalid Hasan

Apps Developer


রূপ ও সৌন্দর্য